ফুলবাড়ীতে ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম প্রকার ভেদে প্রতিকেজিতে কমেছে ৪ থেকে ৬ টাকা

ফুলবাড়ীতে ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম প্রকার ভেদে প্রতিকেজিতে কমেছে ৪ থেকে ৬ টাকা

ফুলবাড়ীতে ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম প্রকার ভেদে প্রতিকেজিতে কমেছে ৪ থেকে ৬ টাকা
ফুলবাড়ীতে ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম প্রকার ভেদে প্রতিকেজিতে কমেছে ৪ থেকে ৬ টাকা

অনলাইন ডেস্ক: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দুইদিনের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম প্রকার ভেদে প্রতিকেজিতে কমেছে ৪ থেকে ৬ টাকা।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ফুলবাড়ী পৌর বাজারের পাইকারি ও খুচরা পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় আমদানিকৃত ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ গত দুইদিন আগেও পাইকারি বাজারে প্রকারভেদে ২৪ থেকে ২৬ টাকা কেজিদরে বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজিদরে। তবে একই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২১ থেকে ২২ টাকা।

বাজারে আমদানি বেশি ও চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমে এসেছে এমন মন্তব্য স্থানীয় খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়িদের। পেঁয়াজের দাম কমে আসায় স্বস্তি পেয়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের পরিবারের লোকজন।

পৌর বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা উপজেলার ভিমলপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বলেন, পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। এ কারণে পাইকারি বাজার থেকে ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন। তবে বাজারে যে ধরনের পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো বেশিদিন রাখা যাবে না। বেশিদিন রাখলে সেগুলোতে পচন ধরে নষ্ট হবে। পেঁয়াজের বাজার এ অবস্থায় থাকলে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য সুবিধা হয়।

ফুলবাড়ী পৌর বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা সুব্রত সরকার বলেন, পাইকারি ব্যবসায়িদের কাছ থেকে যে ধরনের আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে, সেগুলোর মান খুব একটা ভালো থাকছে না। এ কারণে দাম কমে গেছে।

পাইকারি পেয়াজ বিক্রেতা শামসুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি কারণে আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের মান একটু খারাপ হয়ে গেছে। এ কারণে দামও একটু কমে গেছে। এছাড়াও বর্তমানে স্থানীয় বাজারে ক্রেতাও কমে গেছে।

দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন, দেশে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক রাখতে গত ৫ জুলাই থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। বর্তমানে হিলি স্থালবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ ট্রাক পেঁয়াজ আসছে ভারত থেকে। আমদানিকৃত পেঁয়াজের ট্রাকে বৃষ্টির পানি ঢোকার কারণে পেঁয়াজ ভিজে কিছুটা পেঁয়াজের মান খারাপ হচ্ছে। এ কারণে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামও কমে গেছে। আমদানি স্বাভাবিক থাকলে দামও স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকবে।

হিলি পানামা পোর্ট লিংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক বলেন, পেঁয়াজ যেহেতু পচনশীল পণ্য, সেজন্য ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের ট্রাক দ্রুত খালাস করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের গত রবিবার (৩১ জুলাই) ও সোমবার (১ আগস্ট) দুই কর্মদিবসে ভারত থেকে ৬৩ ট্রাকে ১ হাজার ৪৯৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। যা ইতোমধ্যে পানামা পোর্টে খালাসও হয়ে গেছে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply